বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম

ভূমিকাঃ ঐতিহ্যবাহী ঘোড়াধারী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি অত্র এলাকার ইসলামী শিক্ষার প্রানকেন্দ্র। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানটি একদিনে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তার পিছনে রয়েছে একটি দীর্ঘতম ইতিহাস যার সংক্ষিপ্ত বর্ননা নিম্মে তুলে ধরা হল।

পটভূমিঃ ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে কিছু সংখ্যক মুরুব্বী অত্র এলাকায় ইসলামী শিক্ষার আলো ছড়ানোর জন্য উদ্যোগ গ্রহন করেন। এর মধ্যে জনাব মৌলভী আঃ হাকিম পাটোয়ারী, জনাব আঃ রহমান মাস্টার, জনাম শামছুল হক প্রধানিয়া, জনাব আঃ আজিজ তালুকদার, জনাব আঃ জব্বার তালুকদার, জনাব ছাদেকুর রহমান, জনাব আঃ খালেক, জনাব ওমর খান সাহেব সহ আরো অনেকে একটি মক্তব প্রতিষ্ঠা করে ছেলে মেয়েদেরকে ইসলামী শিক্ষা দেওয়া শুরু করেন। এই সময় অনেক দানশীল ব্যক্তিবর্গ মাদ্রাসায় জমি অর্থ, শ্রম, মেধা যার যার সামর্থ অনুসারে ব্যয় করে ইসলামী শিক্ষাকে অব্যাহত রাখার জন্য এগিয়ে আসেন।

জমিদাতাঃ জনাব জমির উদ্দিন গং  ৩২ শতাংশ এবং জনাব আঃ রহমান ৩২ শতাংশ। সর্বমোট ৬৪শতাংশ। এই মোট ৬৪ শতাংশ ভূমির উপর মক্তব প্রতিষ্ঠা করে কোরআনের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।

দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাঃ পরবর্তীকালে মাদ্রাসার সভাপতি জনাব মোঃ মিজানুর তালুকদার সাহেব এলাকার বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গের সাথে বারবার সভা করে এই মক্তবটিকে একটি দাখিল মাদ্রাসা হিসাবে প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করেন। এই সময় জনাব আঃ রব মিয়া, জনাব আঃ ওয়াদুদ প্রধানিয়া, জনাব মোঃ আনিসুর রহমান তালুকদার এর আর্থিক ও মানসিক সহ সার্বিক সহযোগীতায় এই ঘোড়াধারী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। জনাব মোঃ মিজানুর রহমান তালুকদার রাতদিন ওনার শ্রম ও মেধা দিয়ে এই প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করতে থাকেন। এই সময় মাওলানা মোঃ রফিকুল ইসলাম যিনি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাকালীন সুপার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন এবং গত ২৯-০২-২০১২ খ্রিঃ অবসর গ্রহন করেন। তিনিও সার্বিকভাবে সহযোগীতা করতে থাকেন। ধলাইতলী নিবাসী মাওলানা মোঃ জয়নাল আবেদীন ওনাকে উৎসাহ উদ্দীপনা দিয়ে রাখতেন। ০১/০১/১৯৮৮ খ্রিঃ অত্র মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে ১৯৯০ খ্রিঃ বোর্ডের অনুমতি প্রাপ্ত হয়ে দাখিল পরিক্ষায় অংশগ্রহন করে। পরপর ৩ বছর ভাল ফলাফল করায় ০১/০৭/১৯৯৩ খ্রিঃ উক্ত প্রতিষ্ঠানটি এম.পি.ও ভুক্ত হয়। এরপর ধীরে ধীরে মাদ্রাসার জমি আয় করে ভবন তৈরী করা হয়। লেখা পড়ার মান উন্নত হয়। বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক হয়। ২০১৫ খ্রিঃ মতলব (দঃ) উপজেলার শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা হিসেবে উদ্দীপনা পুরষ্কার ও সার্টিফিকেট অর্জন করে। বর্তমানে মাননীয় দুর্যোগ, ত্রান ও পুনর্বাসন মন্ত্রী জনাব মোঃ মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রম সাহেবের সার্বিক সহযোগীতায় মাদ্রাসার একটি পাকা ভবনের কাজ চলছে। মাদ্রাসাটি শুরু থেকে এই পর্যন্ত যারা জমি, অর্থ, বুদ্ধি, মেধা দিয়ে সার্বিকভাবে সহযোগীতা করে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে কবরবাসী হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আর যারা এখনো আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে বেঁচে আছেন তাদের সুন্দর ও সুস্থ্য জীবন এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি।